আপনার শরীরের জন্য কিছু
টিপসঃ ► আপনি কি ওজন
কমাতে চান?? ব্যাম
করতে বা ডায়েট
পুরাপরি কন্ট্রোল
করতে পারেন না ?? সহজ
সমাধান দিচ্ছি আপনি আঙ্গুরের রস
খান, এটি আপনার দেহের ওজন
কমাতে সাহায্য করবে!! ► প্রতিদিন আপেলের রস খান
এটি আপনার মস্তিষ্কের
স্বৃতি ধারন করার
ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়!! ► আপনার যদি হাঁটুর
ব্যাথা থাকে তাহলে আনারসের
রস খান এটি আপনার হাঁটুর
ব্যাথা কমিয়ে দেবে!! আমাদের দেশে নানা রকম ফল পাওয়া যায়। তার মধ্যে পেঁপে অন্যতম। পেঁপের রয়েছে নানা গুণ। যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা পেঁপে খেতে পারেন। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা পেঁপে খেতে পারেন অনায়াসে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি আছে। চোখের সমস্যা বা সর্দিকাশির সমস্যা থাকলে পেঁপে খেতে পারেন, কাজে দেবে। যারা হজমের সমস্যায় ভোগেন তারা পেঁপে খেলে উপকার পাবেন। এই ফলে কোনো ক্ষতিকর উপাদান নেই। পেঁপেতে আছে পটাশিয়াম। তাই এই ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হাইপারটেনশন কমায় অনেকখানি। শরীরে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় পেঁপে। তাই নিয়মিত পেঁপে খেলে হূদযন্ত্রের নানা সমস্যা যেমন হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যাদের কানে ঘন ঘন ইনফেকশন হয় তারা পেঁপে খেয়ে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন। পেঁপে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি- অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল, তাই ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। এ ছাড়া পেঁপে আরো নানা গুণের অধিকারী। ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপের পুষ্টিগুণ প্রোটিন ০.৬ গ্রাম ফ্যাট ০.১ গ্রাম মিনারেল ০.৫ গ্রাম ফাইবার ০.৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ৭.২ গ্রাম খাদ্যশক্তি ৩২ কিলো ক্যালরি ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম আয়রন ০.৫ মিলিগ্রাম। সুস্থ থাকার ২০ টা সূত্র
একেবারে ফিট
থাকতে গেলে কিছু নিয়ম
কানন মেনে চলতে হবে৷
সুস্থ শরীর তার
সঙ্গে শান্তিময় জীবন লাভ করতে কেনা চায়৷
কিন্তু বিশঙ্খৃলার
আড়ালে জীবনটাই
এলোমেলো হয়ে যায়৷থাকে না শান্তি৷
থাকে না স্বস্থি৷ সুস্থ
থাকার কিছু সূত্র আছে৷ সেগুলো কি তা জেনে নিই৷
* প্রতিদিন খুব
সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই
অথবা তিন কিমি হাঁটুন৷
এরপরে স্নান করে সূর্য
আরাধনা করুন৷ এতে মন এবং প্রাণ সতেজ
থাকবে৷ * সব সময়
সোজা হযে বসুন৷ * যখনই
খাবার খাবেন তখন
ভালো করে চিবিয়ে খাবার
গ্রহণ করুন৷ এতে পাচন ক্রিয়া ঠিক থাকবে৷ *
মোটা হওয়ার প্রধাণ
কারন হল তৈলাক্ত
এবং মিষ্টি জাতীয়
পদার্থ খাওয়া৷ তাই এই
ধরনের খাবার খুব কম পরিমানে খান৷ *
সপ্তাহে একদিন উপোস
করে শরীরে খাবারের
সমতা বজায় রাখুন৷ *
গাড়ি থাকলেও খুব
বেশী গাড়ি চালাবেন না৷ বেশীরভাগ
সময়ে পায়ে হেঁটেই কাজ
সারুন৷ এতে পায়ের
মাংসপেশীর ব্যায়াম
হবে৷ আপনি দীর্ঘদিন
সুস্থ থাকতে পারবেন৷ * খাবারের মধ্যে খুব
বেশী পরিমাণে সবুজ
শাক সবজী আর ফল খান৷
* ঘরের সব কাজ
নিজে করারই
চেষ্টা করুন৷ * ব্যস্ত থাকাটা শরীর ও মন
দুয়ের পক্ষে ভালো৷ তাই
কাজে ব্যস্ত থাকুন৷ * ব্যক্তিত্ব
অনুয়ায়ী পোশাক পড়ুন৷ *
জীবনে লক্ষ্য
অনুসারে এগিয়ে চলুন৷ *
শরীরের সৌন্দর্য বজায়
রাখুন৷ * গরমের দিনে রাতে শোওয়ার
আগে স্নান করুন এতে ঘুম
ভালো হবে৷ *
রাতে শোওয়ার
আগে ঢিলে ঢালা পোশাক
পড়ে শুন৷ শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ
প্রত্যঙ্গ রোম ছিদ্রের
মধ্যে দিয়েশ্বসন
প্রক্রিয়া চালায়৷ সেই
কারনে শোওয়ার
আগে ঢিলেঢালা পোশাক পড়ে শুন৷ * চুলের
প্রতি বিশেষ খেয়াল
রাখুন৷ কারণ চুল হল
সৌন্দর্যের অঙ্গ৷
সপ্তাহে একদিন
হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুন৷ *
প্রতিদিন অন্তত 10
মিনিট ধ্যান করুন৷
এতে মানসিক
শান্তি পাবেন৷ তার
উপর মনের জোরও বাড়বে৷ * ক্রোধ
থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলুন৷
* কথার উপরে সংযম
রাখুন৷ আপনার
কথাতে কেউ যেন
মানসিক দুঃখ না পায়৷ সেটা মাথায়
রেখে কথা বলুন৷ *
রাতে শোওয়ার সময়
মনে কোন
চিন্তা রাখবেন না৷
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গভীর ঘুম অত্যন্ত
জরুরী৷ * পেশাগত কোন
সমস্যা থাকলে সেই
সমস্যাকে না জিইয়ে রেখে তা মেটানোর
চেষ্টা করুন৷
Brain Tips স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর
কৌশল
স্মৃতিশক্তি বাড়াবার
ইচ্ছে কমবেশি আমাদের
সবার মধ্যেই আছে।
আমরা চাই সব কিছু যেন আমাদের মনে থাকে।
বাস্তবে সেটা সম্ভব
নয়। কিন্তু মনে রাখার
পরিমাণ
বাড়ানো সম্ভব। এ জন্য
আপনাকে কিছু নিয়ম- কানুন মানতে হবে।
যেমন : ১. লক্ষ্য করুন
এবং নোট নিন, ২.
তথ্যসুশৃঙ্খলিত করুন, ৩.
ডায়েরি ব্যবহার করুন,
৪. শরীর ফিট রাখুন, ৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য
পরীক্ষা করান, ৬. মগজ
ব্যায়াম করুন, ৭.
স্মৃতি সহায়ক, ৮.
অন্যান্য সহায়ক, ৯.
মনে রাখবেন কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। ১.
লক্ষ্য করুন ও নোট নিন :
কোন কিছুকে গুরুত্ব
দিয়ে না শুনলে বা না দেখলে তা আপনার
মনে থাকবে না।
সুতরাংনিজেকে বিষয়টি সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন রেখে গুরুত্ব
সহকারে মনোযোগ দিন।
যেমন- এইমাত্র যার
সঙ্গে আপনার পরিচয়
হলো তার
নামটি যদি আপনি মনে রাখতে চান তাহলে তা কয়েকবার
নিজে নিজে আওড়ান
এবং মনের ঠিক কোথায়
নামটি রাখছেন খেয়াল
করুন। টুকে নেয়াটা খুব
ভাল অভ্যাস। প্রয়োজনীয় জিনিস
টুকে নিলে তা মনে থাকে ভাল। ২. সুশৃঙ্খল হোন :
স্বভাবের দিক
দিয়ে গোছানো হলে অনেক
কিছুই সহজে মনে থাকে।
নির্দিষ্ট জিনিস সব
সময় নির্দিষ্ট জায়গায় রাখলে প্রয়োজনের সময়
হাতড়ে বেড়াতে হয় না।
৩. ডায়েরি ব্যবহার
করুন : ডায়েরিতে তারিখ
অনুযায়ী করণীয়গুলো লিখে রাখলে কোন
কাজ বাদ পড়ার সম্ভাবনা কম। তবে এ
জন্য মনে পড়ামাত্র
কাজটির কথা ডায়েরির
নির্দিষ্ট পাতায়
লিখতে হবে আর
প্রতিদিন ডায়েরি দেখতে হবে।
সবচেয়ে ভাল হয়
যদি প্রতিরাতে আগামীকালের
কাজগুলো দেখে নেন। ৪.
শরীর ফিট রাখুন : শরীর
সুস্থ থাকলে মনও সুস্থ থাকে। তাই নিয়মিত
ব্যায়াম করুন, পরিমিত
আহার করুন, সিগারেট
ছেড়ে দিন। কানে শুনতে,
চোখে দেখতে অসুবিধা থাকলে ডাক্তার
দেখিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন,
এতে অন্যে কি বলছে কি করছে তা আপনি আর
মিস করবেন না। ঘুমের
বড়ি না খাওয়াই ভাল।
আপনি আরও একটু
এ্যালার্ট থাকবেন তাহলে। ৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য
পরীক্ষা করান : নিয়মিত
স্বাস্থ্য
পরীক্ষা করানোর
ব্যাপারটা আমাদের
অভ্যাসের বাইরে। ফলে রোগ গভীর
না হওয়া পর্যন্ত
আমরাতার
উপস্থিতি টের পাই না।
প্রত্যেকের উচিত
প্রতিবছর ডাক্তারকে দিয়ে স্বাস্থ্য
পরীক্ষা করানো।
এতে উচ্চরক্তচাপ,
ডায়াবেটিস, চোখের
বা কানেরসমস্যা সহজেই
ধরা পড়বে। আপনার বিষণ্নতা থাকলে তাও
ধরা পড়বে।
বিষণ্নতাবিরোধী ওষুধ
সেবন
করলে বিষণ্নতাযত
কমবে আপনার স্মৃতিশক্তি তত বাড়বে।
৬. মগজকে ব্যবহার করুন :
শারীরিক কাজ
না করলে শরীর দুর্বল
হয়ে পড়ে। কেউ
যদি কয়েক সপ্তাহ বিছানায় শুধু শুয়েই
থাকে তার পা সরু
হয়ে যাবে,
মাংসপেশীতে টান
পড়বে,
হাঁটতে অসুবিধা হবে। তেমনি কার্যক্ষমতা কমে যায়।
সুশিক্ষিত বুদ্ধিমান
ব্যক্তি যাঁরা নিয়মিত
বুদ্ধির চর্চা করেন
বয়সের
সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের স্মৃতি হ্রাস
তুলনামূলকভাবে কম হয়।
তাই ভাল
স্মৃতিশক্তি পেতে চাইলে নিয়মিত
পড়ুন, শিখুন ও
সমস্যা সমাধানে অংশগ্রহণ করুন।
অলসভাবে বসে থাকলে স্মৃতিশক্তি ভোঁতা হয়ে যায়। ৭. স্মৃতি সহায়ক :
মনে রাখার কিছু
চমৎকার কৌশল আছে,
যেমন- ‘আসহবেনীকলা’-
রংধনুর সাত রঙের নাম
মনে রাখতে সাহায্য করে।
ইংরেজিতে লেফটেন্যান্ট
বানানটা মনে রাখা আপনার
জন্য খুব কষ্টকর
হলে মনে রাখুন-
‘মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া’- শব্দগুলোর
ইংরেজি লিখে নিন,
বানান পেয়ে গেলেন।
মনে রাখার জন্য
কল্পনা শক্তির ব্যবহার
খুব জরুরি। যে কল্পনাশক্তিকে যত
চমৎকারভাবে ব্যবহার
করতে পারবে তার
মনে থাকবে তত বেশি।
বিশেষত ভারতীয়
বিজ্ঞাপনগুলো লক্ষ্য করলে দেখবেন পণ্যের
বিজ্ঞাপনে কি অদ্ভুত সব
কল্পনা ব্যবহার
করা হচ্ছে। এসবই
মনে রাখার
পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। ৮. অন্যান্য সহায়ক : দিন
তারিখ মনে রাখার জন্য
আমরা ক্যালেন্ডার-
ঘড়ি ব্যবহার করছি। ঘুম
থেকে ওঠার জন্যএলার্ম
ঘড়ি ব্যবহার করছি। আজকাল মোবাইল ফোন ও
অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক
যন্ত্রে রিমাইন্ডার
নামে একটা ব্যবস্থা আছে-
যা আপনাকে কাজের
কথাটা মনে করিয়ে দেবে। যে জিনিসটা নিয়ে বাইরে যেতে হবে তা দরজার
মুখে রাখুন,
ওষুধটা বেসিনের
ওপরে তাকে রাখুন-
প্রয়োজনের
জিনিসগুলো আগেই গুছিয়ে রাখুন, কোন
জিনিস ফেলে যাওয়ার
সম্ভাবনা থাকবে না। Homepage